অ্যালকোহলের মাধ্যমে টেক্সট মেসেজ পাঠানোর পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন টরন্টোর ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা। আইসোপ্রোপাইল অ্যালকোহলকে বাইনারি কোডে রূপান্তর করে এ কাজে সফল হন তারা। খবর এনগ্যাজেটের।
এ পদ্ধতিতে বার্তা পাঠাতে তারা ব্যবহার করেছেন আরডুইনো সার্কিট বোর্ড, অ্যাডাফ্রুট এলসিডি মনিটর, একটি ডেস্ক ফ্যান ও বাসাবাড়িতে ব্যবহূত স্প্রে বোতল। এভাবে তারা এক টেবিল থেকে আরেক টেবিলে অবস্থিত কম্পিউটারে টেক্সট মেসেজ পাঠাতে পেরেছেন। পদ্ধতিটিকে তারা মলিউকুলার ডিফিউশন নাম দিয়েছেন।
পরিচালিত পরীক্ষায় ফ্যানের বাতাস দিয়ে অ্যালকোহলের বাষ্প পাঠিয়েছেন নির্দিষ্ট একটি টেবিলের দিকে। ওই টেবিলে থাকা সেন্সরটি বাতাসে থাকা অ্যালকোহলের মাত্রা পরীক্ষা করতে সক্ষম ছিল। সেন্সর থেকে প্রাপ্ত বাষ্পকে পরবর্তী নন-বাইনারি কোডে রূপান্তর করে বিশেষ একটি সফটওয়্যার। এবং এর মাধ্যমে সাফল্যের সঙ্গে প্রেরিত বার্তার পাঠোদ্ধার সম্ভব হয়েছে। প্রথমবার এ পদ্ধতিতে ‘ও কানাডা’ বাক্যটি প্রেরণ করা হয়।
গবেষকরা বলছেন, রাসায়নিক বার্তা প্রেরণের মাধ্যমটিকে সহজেই আনুবীক্ষণিক পর্যায়ে নামিয়ে আনা সম্ভব। এ প্রযুক্তি ব্যবহার করা যাবে নির্দিষ্ট রোগে কার্যকর ওষুধের প্রয়োগে। আবার এটির আকার বর্ধিত করে পয়ঃনিষ্কাশন নালীর মধ্যে দিয়েও বার্তা পাঠানো যাবে। তাতে এ ধরনের সংকুচিত স্থানে উদ্ধার তত্পরতা চালানো সহজ হয়ে যাবে। পাশাপাশি যেসব স্থানে প্রচলিত বেতার যোগাযোগ সম্ভব নয়, সেখানেও কাজে আসতে পারে এ প্রযুক্তি।