প্রেস রিলিজে সিকিউরিটি রোবট কে৫- কে আরটু-ডিটু রোবোকপ হিসেবেই প্রকাশ করা হয়েছিল। কিন্তু রোবট নির্মাতা প্রতিষ্ঠান নাইটস্কোপের প্রতিষ্ঠাতা এবং বর্তমান সিও উইলিয়াম লি একে ‘আরটু-ডিটু ব্যাটম্যান’ ডাকতেই বেশি পছন্দ করেন।
যদিও প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট ম্যাশএবলের এক সাংবাদিক রোবটটি পর্যবেক্ষণের পর নিজস্ব প্রতিবেদনে লিকে পুরোপুরি সমর্থন করেননি। উল্টো চাকতির মতো রোবটিক ভ্যাকুয়াম রুম্বা হিসেবে নামকরণ করেছেন এটিকে।
প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানা গেছে, বুলেটের মতো দেখতে ৫ ফুট লম্বা রোবটটির সঙ্গে আদৌ ব্যাটম্যানের কোনো মিল নেই। উল্টো ভুল করে একে বাচ্চাদের খেলনা পিস্তলের সঙ্গে তুলনা করা যেতে পারে বলে স্বীকার করেছেন লিও।
গোলাগুলির সময় কে৫ দৌড়াতে থাকা মানুষজনের সঙ্গে হঠাৎ মাটিতে পরে যাওয়া কিছু মানুষের ছবিও তুলতে সক্ষম। এছাড়া বৈদ্যুতিক কান সংযুক্তির মাধ্যমে এটি শব্দের উৎসস্থলও খুঁজে বের করতে পারবে। পরে এসব ছবি এবং শব্দের মাধ্যমে দুইয়ে দুইয়ে চার মিলিয়ে এর কারণ এবং দোষীকেও খুজে বের করতে পারবে এটি।
রোবটটির আরও কার্যকারিতার মধ্যে সোশাল মিডিয়া ফিডের উপর নজরদারি এবং পার্কিংরত গাড়ির নাম্বার প্লেটও পড়তে পারবে এটি। এছাড়া চালককে শুভেচ্ছা জানানো থেকে অন্ধকার গলিপথে শব্দ করে অবস্থান জানান দিতে সক্ষম করে প্রোগ্রাম করা হয়েছে এটিকে।
সমস্যা হল, বাচ্চারা সহজেই একে খেলনার জিনিস ভেবে নষ্ট করে ফেলতে পারে।
লি বলেছেন, “আমরা এর উপর ক্যামেরা বসিয়েছি, এছাড়াও সাইরেনও রয়েছে এতে। কেউ কাছে চলে আসলে এটি কান ফাটিয়ে শব্দ করে উঠবে।”
রোবটটির ব্যবহার ৫০ ভাগ পর্যন্ত অপরাধের পরিমাণ কমিয়ে আনবে বলে আশাবাদী লি এবং প্রতিষ্ঠানটির সহপ্রতিষ্ঠাতা স্টেসি ডিন স্টিফেন্স। স্টিফেন্স একজন অবসরপ্রাপ্ত পুলিস অফিসার।
দাম সম্পর্কে নির্দিষ্ট করে জানা না গেলেও এটি সচরাচর সিকিউরিটি ডিভাইসের চাইতে সস্তা হবে বলে জানিয়েছে কোম্পানিটি। ২০১৫ সালের মধ্যে কে৫ বাজারে আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।