কিছুদিন আগেও প্রুস্তকের বাজারের ব্যাপারে বিশেষজ্ঞরা মুদ্রিত বইয়ের ইতি ঘটবে বলেই ভবিষ্যতবাণী করেছিলেন। ডিজিটালের যুগে ইলেকট্রনিক বা ই-বইয়ের জয়যাত্রা যে ভাবে বৃদ্ধি প্রাচ্ছে, তাতে ছাপা বইয়ের টিকে থাকা কষ্টকর হবে, এই ছিল তাদের ধারণা। বাস্তবিকই এক্ষেত্রে চিত্রটা অনেক বদলেছে। বিশ্বের বেশ কিছু খ্যাতনামা বইয়ের দোকান বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ছোট ছোট কিছু প্র্রকাশনা সংস্থাও বন্ধ হয়ে গিয়েছে। কোনো কোনো সংস্থা মুদ্রিত বইয়ের পরিবর্তে সম্পূর্ণভাবে ই-বইয়ের দিকেই ঝুঁকেছে।
হতাশাব্যঞ্জক নয়
তবে হতাশাব্যঞ্জক সব ধরনের ভবিষ্যতবাণী পুরোপুরি ফলেনি। এর পেছনে রয়েছে বিভিন্ন কারণ। অনেক বইয়ের দোকান ক্রেতাদের আকৃষ্ট করার জন্য সুচিন্তিতভাবে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করছে। প্র্রকাশনা সংস্থাগুলি যদি খ্যাতনামা লেখকদের লেখা এবং আকর্ষণীয় বিষয়বস্তু তুলে ধরতে পারে, তাহলে মুদ্রিত বইকে ভবিষ্যৎ নিয়ে তেমন চিন্তা ভাবনা করতে হবে না। এছাড়া বইকে নতুন রূপে সাজাতে হবে যাতে তারা ই-বইয়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারে, হতে পারে বিকল্প। আর এসব পদক্ষেপ নিতে পারলেই চিরাচরিত মুদ্রিত গ্রন্থ তার ভবিষ্যতের ব্যাপারে অনেকটা নিশ্চিন্ত হতে পারবে।