Home / জেলার খবর / নোয়াখালীতে টায়ারে আগুন, ককটেল বিস্ফোরণ

নোয়াখালীতে টায়ারে আগুন, ককটেল বিস্ফোরণ

টায়ারে আগুন, ককটেল বিস্ফোরণ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার মধ্য দিয়ে নোয়াখালীতে ১৮ দলের ডাকা সোমবারের অবরোধ চলছে। এ সময় তারা চারটি গাড়িতে অগ্নি সংযোগ করে ও ১১টি গাড়ি ভাঙচুর করে।

সকালে জেলা শহর মাইজদীর পৌরবাজার এলাকায় জেলা যুবদলের সভাপতি মাহবুব আলমগীর আলোর নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে ১৮দলের নেতাকর্মীরা। ভোরে জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার বসুরহাট পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় মুরগীর বাচ্চাবাহী একটি পিকআপ ভ্যানে আগুন এবং চারটি পিকআপ ভ্যান ভাঙচুর করে অবরোধকারীরা। খবর পেয়ে পুলিশ ও দমকল বাহিনীর লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এসময় গাড়ির চালক আহত হন।

এর আগে রোববার রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার বসুরহাট-কবিরহাট সড়কের করালিয়া এলাকায় গ্যাসের সিলিন্ডারবাহী একটি পাওয়ার টিলার ও মালবাহী দুটি নছিমনে আগুন দেয় অবরোধকারীরা। এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন স্থানে দুটি মোটরসাইকেল ও তিনটি সিএনজি চালিত অটোরিকশা ভাঙচুর ও কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায় অবরোধকারীরা।

অপরদিকে জেলা শহর মাইজদীর মফিজ প্লাজার সামনে ১৮ দলের নেতাকর্মীরা সড়ক অবরোধ করার চেষ্টা করলে পুলিশ ৫ রাউন্ড শর্টগানের গুলি নিক্ষেপ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এসময় রাকিন ও পারভেজ নামে দুইজন গুলিবিদ্ধ হন।

এছাড়া, জেলার মাইজদী-সোনাপুর, চৌমুহনী-মাইজদী, কবিরহাট-সোনাপুর, কোম্পানীগঞ্জ-কবিরহাট, সদর উপজেলার বাঁধেরহাট-মাইজদী, সেনবাগর-সেবারহাট-জমিদারহাট ও সোনইমুড়ি-চাটখিল সড়কের বিভিন্ন স্থানে টায়ারে আগুন দিয়ে ও গাছের গুড়ি ফেলে সড়ক অবরোধ করে।

জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) আনিসুর রহমান পিপিএম জানান, নাশকতা ও সহিংসতা প্রতিরোধে জেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি টহল অব্যাহত রয়েছে।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজেদুর রহমান সংবাদমাধ্যমকে জানান, ভোরে বসুরহাট পৌর সভার বসুরহাট পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় একটি পিকআপ ভ্যানে আগুন দেয় অবরোধকারীরা। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় পুলিশ আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।

আজকের নিউজ আপনাদের জন্য নতুন রুপে ফিরে এসেছে। সঙ্গে থাকার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ। - আজকের নিউজ