অসামরিক গোয়েন্দাদের দেওয়া তথ্যে পুরোপুরি ভরসা না-রেখে বিভিন্ন জায়গায় নাশকতা ও সন্ত্রাসে যুক্ত জামাত-শিবিরের কর্মীদের নামের তালিকা তৈরি করছে সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা বিভাগ। ২৬ তারিখে মোতায়েন হওয়ার পরেই এদের ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য অভিযান শুরু করবে সেনাবাহিনী।
শনিবার ভারতের প্রভাবশালী বাংলা দৈনিক আনান্দবাজার পত্রিকা এক প্রতিবেদনে এমনটাই দাবি করেছে। বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র উল্লেখ করে তারা এসব তথ্য জানিয়েছে।
বাংলাদেশের আসন্ন দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গত সপ্তাহ থেকেই সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা বিভাগ মাঠে নেমে পড়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
পত্রিকাটি বলেছে, ”ইতিমধ্যেই সেনা-গোয়েন্দাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সাতক্ষীরা, ফেনি, লালমণিরহাট, জয়পুরহাট ও সুনামগঞ্জে অভিযান চালিয়ে বেশ কিছু মৌলবাদী দুষ্কৃতীকে আটক করেছে পুলিশ ও আধাসামরিক বাহিনী। এর পরে প্রায় সর্বত্রই জঙ্গি জামাত-শিবির কর্মীরা গা-ঢাকা দিয়েছে। কোথাও কোথাও তারা বিক্ষিপ্ত ভাবে খুন-জখম চালিয়ে যাচ্ছে। পুলিশের বক্তব্য, মূলত এই কারণেই এ বার বিরোধী জোটের ডাকা অবরোধে জনজীবন সে ভাবে ব্যাহত হয়নি। হিংসার প্রকোপও তুলনায় কম।”
আসন্ন জতীয় সংসদ নির্বাচনে ইউরোপীয় ইউনিয়ন পর্যবেক্ষক পাঠাতে অস্বীকৃতি জানানোর কারনে আওয়ামী লীগ চাপে পড়েছে বলেও উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘সেনা নামানোয় যদি বিএনপি ও তার সঙ্গী জামাতে ইসলামি প্রমাদ গণে, তবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ঘোষণায় নিশ্চিত ভাবেই চাপে পড়ল শাসক আওয়ামী লিগ।’