বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদের স্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দিনের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে বিরোধী দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শুক্রবার বিকালে এক শোকবাণীতে তিনি বলেন, “মরহুমা সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দিনের মৃত্যুতে আমি গভীরভাবে শোকাহত ও মর্মাহত।”
প্রয়াত এই রাজনীতিবিদের আত্মার মাগফেরাত কামনা ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব।
মির্জা ফখরুল বলেন, “একাত্তর সালে মুক্তিযুদ্ধের একজন অন্যতম বলিষ্ঠ সংগঠক হিসেবে মরহুমা জোহরা তাজউদ্দিনের ভূমিকা ছিল অত্যন্ত প্রশংসনীয় ও গৌরবময়।
“একজন বিজ্ঞ ও আপদমস্তক রাজনীতিবিদ হিসেবে বিভিন্ন সময়ে নানা ঘাত-প্রতিঘাত অতিক্রম করে তিনি নিজেকে জাতীয় অঙ্গনে সুপ্রতিষ্ঠিত করেছিলেন।’’
শুক্রবার সকাল ১০টা ৩৭ মিনিটে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জোহরা তাজউদ্দিনের মৃত্যু হয়। প্রবীণ এই আওয়ামী লীগ নেতার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর।
১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নিহত হওয়ার পর আহ্বায়ক হিসাবে আওয়ামী লীগের হাল ধরেন জোহরা। সে সময় দলকে সংগঠিত ও ঐক্যবদ্ধ করেন তিনি। পরে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা দেশে ফিরলে তার হাতে তুলে দেন দলের নেতৃত্ব।
তার মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
শোকবাণীতে ফখরুল বলেন, “গণতান্ত্রিক অধিকারের নিশ্চয়তা, দেশের স্বকীয়তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার অবিচল অঙ্গীকার ছিল মরহুমা সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দিনের রাজনীতির মূল প্রতিপাদ্য।
“স্বামীর ন্যায় সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দিন একজন বিজ্ঞ রাজনীতিক হিসেবে সর্বমহলে সমাদৃত ছিলেন।”