বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতার নির্বাচনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণের ভোটাধিকার চূড়ান্তভাবে হরণ করার নজিরবিহীন ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
রোববার রাতে এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রায়ই জনগণের ভোটের অধিকারের কথা বলেন, বিনা বাধায় ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেওয়ার অধিকারের কথা বলেন, কিন্তু তা ভূতের মুখে রাম নামের সমান।”
নিবন্ধিত প্রায় ৪২টি দলের মধ্যে মহাজোটের অন্তর্ভুক্ত মাত্র পাঁচটি দলের অংশগ্রহণে সাজানো-পাতানো নীলনকশার নির্বাচন আয়োজন করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। তবে নির্বাচন কমিশনের প্রার্থীদের তালিকা অনুযায়ী নির্বাচনে ১৬টি দল অংশ নিচ্ছে।
নির্বাচন কমিশনকে সরকারের পোষ্য আখ্যা দিয়ে ফখরুল বলেন, “তড়িঘড়ি করে আগামী ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনের আগেই আওয়ামী ঘরানার কর্মকর্তাদের দিয়ে সাজানো প্রশাসনের সহযোগিতায় ১৫৪ জনকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত করে যে নাটক নির্বাচন কমিশন মঞ্চস্থ করেছে, তা নজিরবিহীন এক লজ্জাজনক ঘটনা।”
‘নির্বাচনে এলে বিএনপিকেও একইভাবে আসন বণ্টন করা হতো’—প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই বক্তব্যের সূত্র ধরে ফখরুল বলেন, “তাঁর এই বক্তব্যে থলের বিড়াল বেরিয়ে এসেছে। তাঁর কথায় প্রমাণ হয়, তিনি জনগণকে সকল ক্ষমতার উত্স কখনোই মনে করেন না এবং জনগণের ভোটের প্রতিও তাঁর কোনো আস্থা নেই।”
তিনি বলেন, সব দলের অংশগ্রহণ ও নির্ভয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা হতে পারে। গণতন্ত্রের স্বার্থে এখনো সংকট নিরসনে বিএনপি তাদের ইতিবাচক মনোভাব থেকে দূরে সরে আসেনি। সরকারের সৃষ্ট ভয়াবহ সংকট থেকে সরকারকেই বেরিয়ে আসতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
নির্বাচনী কার্যক্রম বন্ধ করে দমন-নির্যাতন বন্ধ করারও দাবি জানান ফখরুল। না হলে ‘জনতার রুদ্ররোষ থেকে পালিয়ে যাবার কোনো পথই খোলা থাকবে না বলেও হুঁশিয়ার করেন তিনি।