বিদেশ থেকে কম সুদে ঋণ আনার সুযোগ পাচ্ছে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত তৈরি পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপ। এ অর্থে দেশীয় ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ করা হবে। বিদেশি তিনটি ব্যাংক শিগগিরই প্রতিষ্ঠানটিকে দুই কোটি ৫০ লাখ ডলার (প্রায় ২০০ কোটি টাকা) ঋণ এনে দেবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকও বিদ্যমান রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল (ইডিএফ) থেকে আরও দুই কোটি ৫০ লাখ ডলার ঋণ জোগান দেবে।
আর প্রতিষ্ঠানটির নামে থাকা বিভিন্ন ব্যাংকের ঋণ কোনো ধরনের ডাউন পেমেন্ট বা এককালীন জমা ছাড়াই পাঁচ বছরের জন্য নবায়নের সুযোগ দেওয়া হবে।
স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকে একটি চিঠি দেয়। তাতে যেসব দাবি ছিল বৈঠকে প্রতিটির বিষয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে।
চিঠিতে বলা হয়, অগ্নিকাণ্ডে গ্রুপের এক হাজার ২০২ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে ৪০০ কোটি টাকার কাঁচামাল ও প্রস্তুত পণ্য, ৫০ কোটি টাকার যন্ত্রপাতি, ভবন, বিদ্যুৎ আইটি ২৯২ কোটি টাকা, ১০ কোটি টাকার পরিবহন, ভবন ও ব্যাংকের ভবিষ্যৎ ঋণ বাবদ ৪৫০ কোটি টাকার কথা উল্লেখ রয়েছে। প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম পুনরায় চালাতে তিনি আটটি সুবিধা চান।
বৈঠক শেষে এস কে সুর চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, দেশীয় ব্যাংকের তুলনায় বাইরের ব্যাংক থেকে কম সুদে ঋণ নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। বিনিয়োগ বোর্ডের অনুমতি নিয়ে স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপ বাইরে থেকে শিগগিরই দুই কোটি ৫০ লাখ ডলার ঋণ নেবে। এ ক্ষেত্রে বিদেশি মালিকানার স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড, এইচএসবিসি ও সিটি ব্যাংক এনএ তাদের সহযোগিতা দেবে।
ইডিএফ থেকে সহজ শর্তে প্রতিষ্ঠানটিকে আরও দুই কোটি ৫০ লাখ ডলার ঋণ দেওয়ার তথ্যটি জানান সুর চৌধুরী। লাইবর (লন্ডন ইন্টার ব্যাংক রেট) ও আরও দেড় শতাংশ সুদে তারা এই অর্থ পাবে। রপ্তানিকারকেরা অবশ্য লাইবরের সঙ্গে ২ দশমিক ৫০ শতাংশ সুদে বর্তমানে ইডিএফ থেকে ঋণ নিয়ে থাকেন। ইডিএফ থেকে স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপের ১৯টি প্রতিষ্ঠানের বর্তমানে তিন কোটি ১৮ লাখ ৪০ হাজার ডলারের ঋণ নেওয়া রয়েছে।
বৈঠকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী, স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপের চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোশারফ হোসেন, বিজিএমইএর সভাপতি আতিকুল ইসলাম, বেসরকারি শাহজালাল ইসলামী, প্রাইম, বিদেশি স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড, এইচএসবিসি ও সিটি ব্যাংক এনএর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।