আগামি নির্বাচন নিয়ে দেশের রাজনৈতিক সংকট নিরসনে দুই প্রধান দলের মুখপাত্রদের মধ্যে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। সোমবার চীনের রাষ্ট্রদূত লি জুনের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এই প্রস্তাব দেন বলে চীনা দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। দেশের সংকট নিরসেন চীনের রাষ্ট্রদূত খালেদা জিয়ার মনোভাব জানতে চাইলে খালেদা জিয়া চীনের রাষ্ট্রদূতকে বলেছেন, আলোচনার জন্য বিএনপি প্রস্তুত। তবে, সেটা নির্ভর করছে সম্পূর্ণ সরকারের সিদ্ধান্তের উপর। নির্দলীয় সরকারের রূপরেখা নিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মধ্যে আলোচনা হতে পারে বলে বিরোধী নেতা রাষ্ট্রদূতকে জানান।
চীনের রাষ্ট্রদূত আগামী নির্বাচন, অবাধ ও সুষ্ঠু দেখতে চান বলে খালেদা জিয়াকে জানান। তার মতে, সেটা আলাপ আলোচনার মাধ্যমেই সম্ভব। নির্দলীয় সরকারের দাবিতে বিএনপি সামনে যে কর্মসূচি দিচ্ছে সেটাও শান্তিপূর্ণ হবে বলে তিনি তার আশার কথা জানান খালেদা জিয়াকে।
উল্লেখ্য, ২০০৬ সালে রাজনৈতিক সঙ্কট এড়াতে ওই সময়ে ক্ষমতাসীন বিএনপির তৎকালীন মহাসচিব আব্দুল মান্নান ভূঁইয়া এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জলিলের মধ্যে সংলাপ হলেও তা ব্যর্থ হয়েছিল। এরপর সঙ্কট আরো ঘনীভূত হয়ে এসেছিল জরুরি অবস্থা, দুই বছর কার্যত সেনাশাসনে ছিল দেশ।
