আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা তৃতীয়বারের মতো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হলেন। আজ রোববার বঙ্গভবনের দরবার হলে রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ মন্ত্রিসভার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের শুরুতে শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিয়ে শপথ বাক্য পাঠ করান। এর আগে ১৯৯৬ সালে ৭ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা প্রথমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হন। এরপর তিনি দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হন ২০০৮ সালে ৯ম জাতীয় সংসদের। গত ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদের একতরফা নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে তৃতীয় বারের মতো বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী হলেন আওয়ামী লীগের কান্ডারী শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনার জন্ম ২৮ সেপ্টেম্বর ১৯৪৭ সালে। তিনি বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রধান নেতা ও বাংলাদেশ সরকারের প্রথম রাষ্ট্রপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা। তাঁর মাতার নাম বেগম ফজিলাতুননেসা। তিনি গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহন করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট কতিপয় সেনাসদস্য বঙ্গবন্ধুসহ তাঁর পরিবারের সদস্যদের হত্যা করে। সে সময় শেখ হাসিনা ও তাঁর বোন শেখ রেহানা বাংলাদেশের বাইরে ছিলেন।
আওয়ামী লীগ ১৯৮১ সালে সর্বসম্মতিক্রমে শেখ হাসিনাকে তাঁর অনুপস্থিতিতেই দলের সভাপতি নির্বাচিত করে।তার দল ১৯৮৬ সালে এইচ এম এরশাদের সামরিক শাসকের অধীনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে আওয়ামী লীগ। যাঁর নেতৃত্ব দেন শেখ হাসিনা।
১৯৯০ সালে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতৃত্বে এরশাদ বিরোধী দূর্বার আন্দোলন গড়ে ওঠে।শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়া অভিন্ন রাজনৈতিক আন্দোলনের মাধ্যমে এরশাদ সরকারকে ক্ষমতা থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করেন । ১৯৯১ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ প্রধান বিরোধীদল হিসেবে সংসদে বসে। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে শেখ হাসিনা ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে প্রথমবারের মতো গ্রেফতার হন। এরপর ২০০৮ সালে তিনি কারা মুক্ত হন। একই বছর নবম জাতীয় সংসদের নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন মহাজোট প্রায় তিন-চতুর্থাংশ আসনে জয়লাভ করে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকা অবস্থায় ১৯৬৭ সালে ড.ওয়াজেদ মিয়ার সঙ্গে শেখ হাসিনার বিয়ে হয়। ২০০৯ সালে ওয়াজেদ মিয়া মারা যান। শেখ হাসিনার দুটি সন্তান, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় আর মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল।