প্রোটোকল প্রত্যাহার করায় নিরাপত্তাহীনতার কারণ দেখিয়ে আদালতে উপস্থিত হতে না পারায় সময় চেয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত। রোববার খালেদা জিয়ার পক্ষে তার আইনজীবী জয়নুল আবেদিন মেজবাহ সময় চেয়ে আবেদন করলে তা মঞ্জুর করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক রেজাউল ইসলাম।
জিয়া অরফ্যানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের দুই মামলার অভিযোগ গঠনে আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী শুনানির দিনও ধার্য করেছেন আদালত।
আবেদনে উল্লেখ করা হয়, খালেদা জিয়া ৩ বারের প্রধানমন্ত্রী ও ২ বার বিরোধী দলীয় নেত্রী ছিলেন। সরকার তার নিরাপত্তা প্রত্যাহার করে নিয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রয়োজনীয় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা না থাকায় তিনি আদালতে উপস্থিত হতে পারছেন না।
উল্লেখ্য, এর আগে বিভিন্ন কারণে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় ৪০ বার ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় ১০ বার সময়ের আবেদন করেন তিনি। রোববার ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতে মামলা দুটির অভিযোগ (চার্জ) গঠনের শুনানির দিন ধার্য ছিলো। আগের বিচারক অবসরে যাওয়ায় ভারপ্রাপ্ত বিচারক রেজাউল ইসলাম মামলা দুটির শুনানি গ্রহণ করেন। জিয়া অরফ্যানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় তারেক রহমানের পক্ষে তার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া হাজিরা দেন। অপর দুই আসামি হচ্ছেন, কাজী সলিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল ও শরফুদ্দিন আহমেদ।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার অপর আসামিরা হলেন, জিয়াউল ইসলাম মুন্না, মনিরুল ইসলাম খান ও খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী। তবে হারিছ চৌধুরী এ মামলায় বরাবর পলাতক।
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের ৮ আগস্ট জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের নামে তেজগাঁও থানায় মামলা দায়ের করেছিলেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক হারুনুর রশিদ। অন্যদিকে, ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা দায়ের করা হয়।