রংপুরের পীরগাছার সময় হয়ে গেলেও ভোটগ্রহণ কার্যক্রম শুরু হয়নি। এখানে ৯০টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৭০ ভাগের ব্যালটবক্স ছিনিয়ে নিয়ে পুড়িয়ে দেয়ার কারণে এই ঘটনা ঘটেছে। তবে নির্বাচন অফিস বলছে ৪১টি ভোট কেন্দ্রের কোনো সরঞ্জামাদি না থাকায় সেখানে ভোটগ্রহণ করা যাচ্ছে না।
শনিবার সন্ধা থেকে রোববার সকাল পর্যন্ত পীরগাছা উপজেলার ৯০টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে মধ্যে ৬৫/৭০ টি ভোট কেন্দ্রের ব্যালট বক্স ছিনতাই করে পুড়িয়ে দেয় ১৮ দলীয় জোট নেতাকর্মীরা।
এরমধ্যে পীরগাছার দামুর চাকলা আবু সালেহীয়া দাখিল মাদ্রাসা প্রতিপাল রেজি প্রাইমারী বিদ্যালয়, কান্দি ইউনিয়নের দাদন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নটাবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,পশ্চিম দেবু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নেক মামুদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পাওটানা হাইস্কুল, পবিত্রঝাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে, নেকমামুদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তালুক ইশাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জেএন উচ্চ বিদ্যালয়সহ ২১ টি ভোট কেন্দ্রে আগুন ধরিয়ে দেয় জোট নেতাকর্মীরা।
এছাড়াও ছাওলা ইউনিয়নের সবকটি ভোটকেন্দ্রের ব্যালট বক্স ছিনিয়ে নিয়ে বাইরে এনে পুড়িয়ে দেয় ১৮ দল নেতাকর্মীরা।
পীরগাছা উপজেলা নির্বাচন অফিসার সেলিম হোসেন জানান, ব্যালটবক্স ছিনতাই, অগ্নিসংযোগ এর কারনে ৪১টি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।
তবে স্থানীয়রা জানান, কল্যাণী এবং পারুল ইউনিয়নের ১০/১২ টি কেন্দ্র ছাড়া কোথাও ভোটগ্রহণ হচ্ছে না। সব জায়গা থেকেই নির্বাচন সংক্রান্ত লোকজন উপজেলায় চলে গেছেন।
পীরগাছা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা আলিয়া ফেরদৌস জাহান জানান,পীরগাছায় ব্যালট বক্স ছিনতাই ও এবং কেন্দ্র পুড়িয়ে দেয়ার ঘটনায় অন্য সেন্টারগুলোতে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। যেসব কেন্দ্রে ভোট হচ্ছে না সেখান থেকে আনসার এবং প্রিজাইটিং অফিসার সহকারী প্রিজাইটিং ও পোলিং অফিসারদের উপজেলায় নিয়ে আসা হয়েছে। সার্বিকভাবে পুরো উপজেলায় আইনশৃংখলা বাহিনীর নজরদারি ও টহল বাড়ানো হয়েছে।
এদিকে রোববার ভোররাতে রংপুর-৪ (পীরগাছা-কাউনিয়া) আসনের পীরগাছার পারুল ইউনিয়নের দেউতি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ব্যালট বক্স ছিনতাইয়ের সময় পুলিশ ও ১৮ দলের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষে পুলিশের গুলিতে দুই জামায়াত শিবির নেতাকর্মী নিহত এবং অন্তত ১০ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে।