দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হতে আর কিছু সময় বাকি। এরই মধ্যে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের বিভিন্নস্থানের বেশ কয়েকটি ভোটকেন্দ্রে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, ভোটকেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের উপস্থিতি কমাতে এবং নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পরিকল্পিতভাবে নাশকতা করছে জামায়াত-শিবিরের প্রশিক্ষিত ক্যাডাররা। নির্বাচনকে বানচাল করতেই তাদের এ পদক্ষেপ।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে এরই মধ্যে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (ডিবি) মনিরুল ইসলাম বলেন, গোয়েন্দা তথ্যানুযায়ী সারাদেশেই নাশকতার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে ডিএমপির পক্ষ থেকে ভোটার এবং ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।
ডিএমপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ঢাকার ৮টি আসনের এক হাজার ২১টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ও সাধারণ ভোটকেন্দ্রের জন্য আলাদাভাবে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
শনিবার থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে র্যাব, বিজিবি’র সঙ্গে সমন্বয় করে সারা দেশেই নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে। এছাড়াও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সঙ্গেও সমন্বয় করা হচ্ছে। এর ফলে কোনো কেন্দ্রেই গোলযোগ সৃষ্টি সম্ভব হবে না।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার বেনজির আহমেদ বলেন, সবাই যেন ভীতিমুক্ত পরিবেশে ভোট দিতে পারেন, সেজন্য পুলিশের পক্ষ থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
বিজিবি, র্যাব, আনসার সদস্যরা নিরাপত্তা কার্যক্রমে রয়েছেন। প্রিজাইডিং অফিসারের নেতৃত্বে তারা প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা কার্যক্রম গ্রহণ করবেন। পুলিশের পক্ষ থেকে ভোটের দিন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে মোবাইল কোর্ট সক্রিয় থাকবে। নির্বাচনকালীণ সময়ে যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকায়, ভোটকেন্দ্রে কোনো ধরণের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হলে স্ট্রাইকিং ফোর্স ঘটনাস্থলে যেতে পারবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে, নিরাপত্তা জোরদার করা হলেও এখনো শঙ্কা কাটেনি। যেকোনো সময় ভোটকেন্দ্রে নাশকতা হতে পারে বলে গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে।
শুক্রবার উত্তরায় একটি ভোটকেন্দ্রের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় দুর্বৃত্তরা। শনিবার সকালে দক্ষিণখান থানা এলাকায় একটি ভোটকেন্দ্রে অগ্নিসংযোগের চেষ্টা করে। কদমতলী থানা এলাকায় একটি ভোটকেন্দ্র থেকে ৬টি হাতবোমা উদ্ধার করে পুলিশ।