জামায়াত নেতা কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকরের প্রতিবাদে পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে নিন্দা প্রস্তাব পাস করা হয়েছে।
এ নিয়ে বাংলাদেশের সর্বত্রই চলছে বিক্ষোভ। গণজাগরণ মঞ্চ কর্তৃক ঢাকায় পাকিস্তানের হাইকমিশন ঘেরাওয়ের ঘটনা ঘটেছে। নানা মহল থেকে দাবি উঠেছে বাংলাদেশের আভ্যন্তরীন বিষয়ে নাক গলানোর অপরাধে পাকিস্তানের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার।
বাংলাদেশের এহেন তীব্র প্রতিবাদের পর পাকিস্তান বলেছে, কাদের মোল্লার ফাঁসির বিষয়ে তাদের পার্লামেন্টে প্রস্তাব পাস করা মানেই বাংলাদেশের ‘অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ’ করা নয়।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র শুক্রবার বাংলাদেশ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে একথা বলেন। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে ওই প্রশ্নোত্তর প্রকাশ করা হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে ওই মুখপাত্র বলেন, “বাংলাদেশে এখন যা ঘটছে তা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। আমাদের পার্লামেন্টে একটি প্রস্তাব পাস করা মানেই কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ নয়।”
প্রসঙ্গত, গত ১২ ডিসেম্বর যুদ্ধাপরাধী আব্দুল কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকরের চার দিনের মাথায় বিষয়টি নিয়ে একটি প্রস্তাব পাস করে পাকিস্তান পার্লামেন্ট।
পাকিস্তানের ওই পদক্ষেপের ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখায় বাংলাদেশ। ঢাকায় পাকিস্তানের হাই কমিশনারকে তলব করে এর ব্যাখ্যা চায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসির দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসা গণজাগরণ মঞ্চ পাকিস্তান দূতাবাস অভিমুখে বিক্ষোভ মিছিল করে। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাকিস্তানের পতাকা ও দেশটির কয়েক নেতার কুশপুতুল দাহ করা হয়।