দক্ষিন আফ্রিকার জোহার্নেসবার্গের সকার সিটি স্টেডিয়ামের দিকে যেন চেয়েছিল সারা বিশ্ব। এখানেই মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল ১১টার দিকে বিশ্ব নেতারাসহ কয়েক ল মানুষ শোককে শক্তিতে পরিণত করে টিপ টিপ বৃষ্টির মধ্যেও নাচে, গানে ও শ্রদ্ধায় স্মরণ করেছে বিশ্ব মানবতার প্রতিক ও বর্ণবাদবিরোধী নেতা এবং দণি আফ্রিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট নেলসন ম্যান্ডেলাকে।
এই স্মরণ অনুষ্ঠান উপলে জোহার্নেসবার্গে এদিন এক কাতারে বসেছিলেন বিশ্বের তাবৎ শত্রু-মিত্র রাষ্ট্রপ্রধানরা। এদিন যেমন উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, তেমনি উপস্থিত ছিলেন মার্কিনিদের রাজনৈতিক মতাদর্শগত প্রতিদ্বন্দি কিউবার প্রেসিডেন্ট রাউল ক্যাস্ত্রো। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন জাতিসংঘ মহাসচিবসহ বিশ্বের কমপে ২০০টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা। এরমধ্যে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি এড. আব্দুল হামিদও রয়েছেন।
স্মরণ অনুষ্ঠানে বক্তব্যে জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন বলেন, ‘দণি আফ্রিকার মানুষ যেমন সত্যিকারের একজন নায়ক ও তাদের পিতাকে হারিয়েছে তেমনি বিশ্ব হারিয়েছে শ্রেষ্ঠ এক শিক ও বন্ধুকে।’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ম্যান্ডেলাকে এক অতিকায় ইতিহাস উল্লেখ করে বলেন, ‘তিনি ছিলেন বিংশ শতাব্দীর শেষ মহান মুক্তিদাতা।’
দণি আফ্রিকান প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমা ম্যান্ডেলাকে সত্যিকারের এক মানুষ উল্লেখ করে বলেন, ‘তিনি ছিলেন একজন দয়ালু মানুষ কিন্তু তার ছিলেন স্পস্টভাষী।’
এছাড়া স্মরণানুষ্ঠানে ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জী, ব্রাজিলিয়ান প্রেসিডেন্ট দিলমা রৌসেফ, কিউবার প্রেসিডেন্ট রাউল কাস্ত্রো ও দণি আফ্রিকার নোবেলজর্য ধর্মযাজক ও অধিকার আন্দোলন কর্মী ডেসমন্ড টুটু, চীনা ভাইস প্রেসিডেন্ট লি ইউয়ানচাও ও নামিবিয়ার প্রেসিডেন্ট বক্তব্য রাখেন।
উল্লেখ্য, গত ০৬ ডিসেম্বর নেলসন ম্যান্ডেলা ৯৫ বছর বয়সে জোহার্নেসবার্গে তার নিজ বাসায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। বর্তমানে তার মরদেহ প্রিটোরিয়ার ইউনিয়ন ভবনে তিন দিনের জন্য রাখা হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। আগামী ১৫ ডিসেম্বর কুনু গ্রামে তার শেষকৃত্য অনুষ্ঠান হওয়ার কথা রয়েছে।