স্বপ্নের এক সিরিজ খেললেন মোহাম্মদ হাফিজ। পাঁচ ম্যাচে রান করেছেন ৪৪৮। পাকিস্তানের হয়ে নির্দিষ্ট কোনো ওয়ানডে সিরিজে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান এখন হাফিজের। মাত্র ৪ রানের জন্য সালমান বাটের রেকর্ডটা ভাঙতে পারলেন না এ অলরাউন্ডার। ২০০৭-৮ মৌসুমে বাংলাদেশের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে মোট ৪৫১ রান করেছিলেন বাট।
পাকিস্তানের হয়ে কোনো সিরিজে তিন সেঞ্চুরি করার কৃতিত্ব আছে জহির আব্বাস ও সাঈদ আনোয়ারের। জহির আব্বাস ১৯৮২-৮৩ মৌসুমে দ্বিপক্ষীয় সিরিজে ভারতের বিপক্ষে তিন সেঞ্চুরিসহ রান করেছিলেন ৩৪৬, ৮৬.৫০ গড়ে। সাঈদ আনোয়ার শারজাতে শ্রীলঙ্কা এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজকে নিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজের পাঁচ ম্যাচে তিন সেঞ্চুরিসহ ৩৮৭ রান করেছিলেন ৭৭.৪০ গড়ে।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হাফিজ এবং আহমেদ শেহজাদ মিলে করেন চারটি সেঞ্চুরি। এ নিয়ে পঞ্চমবারের মতো কোনো সিরিজে পাকিস্তানের চারটি সেঞ্চুরি এলো।
২০১৩ সালে ওয়ানডেতে মোট ১৩০১ রান করেন মোহাম্মদ হাফিজ। ক্যালেন্ডার বছরে এটাই তার সর্বাধিক রান। আর গত তিন বছরের মধ্যে এ নিয়ে দু’বার এক হাজারের ওপর রান করলেন তিনি। ২০১১ সালে ১০৭৫ রান করেছিলেন ৩৭.০৬ গড়ে।
সিরিজে পাকিস্তান অধিনায়ক মিসবাহ-উল-হক হাফসেঞ্চুরি করেন দুটি। ২০১৩ সালে তার মোট হাফসেঞ্চুরির সংখ্যা ১৫। সেঞ্চুরি না করে এক বছরে ১৫ হাফসেঞ্চুরি করা ক্রিকেট ইতিহাসের একমাত্র ব্যাটসম্যান এখন মিসবাহ। এর আগে ইউনুস খান (২০০২), সৌরভ গাঙ্গুলি (২০০৭), গ্রায়েম স্মিথ (২০০৭) এক বছরে ১২টি হাফসেঞ্চুরি করেছিলেন কোনো সেঞ্চুরি ছাড়া।
২০১৩ সালে মিসবাহ রেকর্ড করেছেন আরও একটি। সেটা অবশ্য পাকিস্তানির মধ্যে। এ বছরে তার রান ১৩৭৩। এক বছরে এর আগে অন্য কোনো পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান এত রান করেননি। ১৩০১ রান করে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন হাফিজ। তিন নম্বরে আছেন জাভেদ মিয়াঁদাদ। তিনি ৯৪২ রান করেছিলেন ১৯৯২ সালে।
শ্রীলঙ্কাকে ৩-২-এ হারিয়ে এ নিয়ে চলতি বছর সাতটি দ্বিপক্ষীয় ওয়ানডে সিরিজ জিতল পাকিস্তান। তাদের ক্রিকেট ইতিহাসে যেটা সর্বোচ্চ। এর আগে ২০১১ সালে ছয়টি দ্বিপক্ষীয় ওয়ানডে সিরিজ জিতেছিল তারা। নড়বড়ে ব্যাটিং নিয়েও মিসবাহর দল নতুন নজির সৃষ্টি করেছে এ বছর।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজে পাঁচ ম্যাচে পাকিস্তান মোট রান করেছে ১৩১৮। এর আগে শুধু দু’বার পাঁচ ম্যাচ সিরিজে এর চেয়ে বেশি রান করেছিল তারা। এ সিরিজে পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানদের সম্মিলিতভাবে গড় ৫০.৬৯। পাঁচ ম্যাচ সিরিজে পাকিস্তানের এটা তৃতীয় সর্বোচ্চ গড়।
পেসার জুনায়েদ খান নেন ১৩ উইকেট। দ্বিপক্ষীয় ওয়ানডে সিরিজে কোনো পাকিস্তানি বোলারের এটা দ্বিতীয় সর্বাধিক উইকেট নেওয়ার ঘটনা। এর আগে ২০০৪-০৫ মৌসুমে ভারতের বিপক্ষে সিরিজে ১৫ উইকেট নিয়েছিলেন নাভেদ-উল-হাসান। নাভেদ অবশ্য জুনায়েদের চেয়ে এক ম্যাচ বেশি খেলেন।
