বুম বুম আফ্রিদি মানেই ক্রিকেট ভক্তদের অতিরিক্ত বিনোদন। টেস্টকে বিদায় বলেছেন অনেক আগেই। একদিনের ক্রিকেটকেও গুডবাই বলে দিয়েছিলেন এই অলরাউন্ডার। কিন্তু ২২ গজের মায়া ছাড়তে পারেননি তিনি। শর্তমূলক বিদায় নিয়েও ফিরে এসেছেন নতুন করে।
বয়স তেত্রিশকে ছাড়িয়ে গেলেও এখনও ঔজ্জ্বল ছড়াচ্ছেন নিয়মিত। বুধবারও গড়লেন এক নতুন কীর্তি।
টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে ১০০০ রান এবং ৫০ কিংবা তার বেশি উইকেট লাভের বিস্ময়কর এক রেকর্ড গড়েন শহিদ খান আফ্রিদি।
শ্রীলংকার বিপে দুই ম্যাচের প্রথম টি২০তে ৯৭৭ রান নিয়ে মাঠে নামেন আফ্রিদি। থিসেরা পেরেরার ১৮তম ওভারের প্রথম বলটাকেই লং অনে ঠেলে দিয়ে সিঙ্গেল নেন তিনি। সেইসঙ্গে টি২০ ম্যাচের ইতিহাসে একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে ১০০০ রান তোলার মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ২০ বলে ৩৯ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন আফ্রিদি। তার এই ইনিংসের উপর ভর করেই দল পায় তিন উইকেটের সহজ জয়।
এদিন দুবাইয়ে নিরপে ভেনূতে টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে প্রথম ব্যাট করা শ্রীলংকার সংগ্রহে দাড়ায় ৫ উইকেটের বিনিময়ে ১৪৫ রান।
সর্বোচ্চ ৫০ রান আসে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজের ব্যাট থেকে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৩ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন লাহিরু থিরিমান্নে।
১৪৫ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে দারুণ শুরু করে পাকিস্তান। উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান সারজিল খানের ৩৪, অধিনায়ক মোহাম্মদ হাফিজের ৩২ রানের পর বিপর্যস্ত পাকিস্তানকে টেনে তুলার দায়িত্ব নেন শহিদ খান আফ্রিদি।
মাত্র ২০ বলে ৩ ছক্কা ও ২ চারে ৩৯ রানের ঝড়ো এক ইনিংস খেলেন তিনি। তার এই অলরাউন্ডার পারফরম্যান্সের সৌজন্যেই শেষ পর্যন্ত জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে পাকিস্তান।
ব্যাটিংয়ে আসার আগে বোলিংয়ে উইকেট পাওয়া আফ্রিদিই জিতেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার। দুই ম্যাচ সিরিজের শেষটিতে আগামীকাল শুক্রবার আবারও মাঠে নামবে দুই দল।