অতিমানব না হলে ব্যাপারটি কোনভাবেই সম্ভব ছিলো না। রোজ ১০০ মুরগী সাবাড় করা যে কারো কর্ম হতে পারে না। কিন্তু সর্বকালের অন্যতম সেরা স্প্রিন্টার উসাইন বোল্ট তো আর সাধারণ কেউ নন। আর তাই তিনি প্রতিদিন ১০০টি করে মুরগী অনায়াসে ভক্ষণ করে গেছেন।
এই বিষ্ময়কর ঘটনাটি উল্লেখ করেছেন স্বয়ং বোল্টই। সদ্য প্রকাশিত আতœজীবনী ‘ফাস্টার দ্যান লাইটেনিং’ এ তিনি ২০০৮ সালের বেইজিং অলিম্পিকে এই কান্ড ঘটিয়েছিলেন বলে জানান। সেই অলিম্পিকে বোল্ট ১০০ মিটার, ২০০ মিটার এবং ৪.১০০ মিটার স্প্রিন্টে স্বর্ণ জিতেন।
দ্য ইনডিপেন্ডেন্ট সুত্রে জানা যায় বোল্ট তার আতœজীবনীতে উল্লেখ করেন, বেইজিং অলিম্পিকে তিনি ১০ দিন বেইজিংয়ে অবস্থান করেন এবং কঠোর অনুশীলন চালিয়ে যান। ফলে প্রথম দিন তিনি মধ্যাহ্ন ভোজ এ ২০ মুরগীর একটি প্যাকেট নেন এবং রাতের খাবারেও ঐ একই রকম আরেকটি মুরগীর প্যাকেট সাবাড় করেন। কিন্তু পরের দিন থেকেই তার মুরগী আসক্তি প্রবল আকার ধারণ করে। সকালের নাস্তায় তিনি ২০ মুরগীর দুটি প্যাকেট সাবাড়ের পর মধ্যাহ্ন ভোজে একটা এবং সন্ধ্যায় আরো দুটি প্যাকেট ভক্ষণ করেন। এই মুরগীগুলোর সঙ্গে তিনি অ্যাপল পাই এবং কিছু সব্জীও নিতেন।
বেইজিং অলিম্পিকের সময় বোল্টের বয়স ছিলো ২২ । আর সে সময়ে তিনি আনুমানিক দৈন ৫০০০ ক্যালরি খরচ করতেন অনুশীলনে। এই জন্যই চিকিৎসকরা যে সমস্ত খাবার অধিক হারে গ্রহনে কঠোরভাবে নিষেধ করে থাকেন তা অমান্য করেই তিন তিনটি স্বর্ণপদক জয় করেন জ্যামাইকার এই এই অতিমানব স্প্রিন্টার। আর তার গতিও ছিলো দুর্বার।