Home / জেলার খবর / যা পাই তাই লাভ

যা পাই তাই লাভ

নীলফামারীর বিভিন্ন এলাকায় জমি থেকে নতুন আলু উঠছে। আলুচাষীরা জমি থেকে আলু তুলে তা বস্তায় ভরে বাজারে নিয়ে বিক্রি করছেন। আর যে জমির আলু উঠনো শেষ হচ্ছে সেই জমিতে গ্রামের শিশুরা পড়ে থাকা আলু সংগ্রহে নেমে পড়েছে। এমন দৃশ্য চোখে পড়ে শনিবার নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার পুটিমারী গ্রামে। গ্রামে এসব শিশুর নাম দেয়া হয়েছে আলু কুড়ানী। এমন একজন আলু কুড়ানী শিশু বেলাল কে দেখা যায় সে লাঙ্গন দিয়ে উঠানো আলুর েেতর মাটি টানা দিচ্ছে। যদি ভাগ্যে মিলে যায় আলু। দেখা গেলো ভাগ্যে আলু পেয়েছে বেলাল। শুধু বেলাল নয় বেলালের মতো অনন্ত, বিনী, কাবুল, মোসলেমা, কালু, জব্বার, সেলিম সকলে কম করে হলেও একেক জন আলু কুড়িয়ে পেয়েছে প্রায় ২ থেকে আড়াই কেজি। ওরা বলে যা পাই তাই লাভ। কারন ওদের আলু কুড়ানীর মজাটা হলো এই আলু বাড়ি নিয়ে গিয়ে আগুনে পুড়িয়ে লবন দিয়ে খাবে। তাদের সাথে কথা বলে এই তথ্যগুলোই পাওয়া গেছে। নীলফামারী জেলা কৃষি সম্প্রসারন অফিসের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা মহসিন রেজা রূপম জানালেন, নীলফামারী জেলায় চলতি রবি মৌসুমে এবার ২০ হাজার হেক্টর জমিতে আলু রোপন করেছে এবং করছে আলু চাষীরা। এরমধ্যে আগাম আমন ধান আবাদের পর সেই জমিতে প্রায় ১০ হাজার হেক্টরে আগাম আলু চাষ করা হয়। এই আলু ৫৫থেকে ৬০ দিনে উঠে আসে। জেলায় সব থেকে বেশী আগাম আলু চাষ হয় জেলার কিশোরীগঞ্জ উপজেলায়। পুটিমারী ইউনিয়নের দণি ভেড়ভেড়ী গ্রামে কৃষক খয়ের উদ্দিন (৬৫) বলেন, হামরা বড় আশা করিয়া আগাম আলু গারছি বেশী দামের আশায়, কিন্তু দেশের যে অবস্থা অবরোধ আর হরতাল। এ্যালা হামার মাথাত হাত পড়িছে। তিনি বলেন, প্রতি বছর আগাম আলু চাষ করে েেতই আলু প্রতি কেজি পাইকারী বিক্রি হয়ে যেতো ৩৫/৪০ টাকা। অবরোধ আর হরতালের কারনে এইবার ঢাকা চট্রগ্রাম সহ কোন এলাকার পাইকার আলু কিনতে আসেনি। ফলে স্থানীয় বাজারে এই আলু ১৫ কেজি দরে বিক্রি করতে হচ্ছে। অপর আলু চাষী খয়ের উদ্দিন বলেন, আমি এখন বাধ্য হয়ে ১৫ টাকা কেজি দরে স্থানীয় ফড়িয়ার কাছে আলু বিক্রি করে দিচ্ছি। ফলে লোকসানের বোঝা এখন চাপিয়ে দিলো বিরোধীদলের অবরোধ আর হরতাল। তিনি বলেন আগাম আলু উৎপাদন করে উৎপাদন খরচ সহ হিসাব করলে প্রায় অর্ধেক টাকা লাভ আসার কথা ছিল সেখানে এবার লোকসান গুনতে হচ্ছে। তিনিও ওই আলু কুড়ানী শিশুদের মতো বললেন যা পাই তাই লাভ। আলুর পাইকার জব্বার মিয়া জানান অবরোধের কারনে ঢাকা চট্টগ্রামের বাজারে আলু ট্রাকে করে চালান করা সম্ভব হচ্ছেনা। ফলে স্থানীয় বাজারে আলুর দাম কমে গেছে। তাই তারা আলু চাষীদের তে থেকে ১৫ টাকা কেজি দরে আলু ক্রয় করে বাজারে ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন।

আজকের নিউজ আপনাদের জন্য নতুন রুপে ফিরে এসেছে। সঙ্গে থাকার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ। - আজকের নিউজ