আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন, বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের ঢাকা অভিমুখী কর্মসূচি ব্যর্থ হয়েছে। দলের নেতারাও কর্মসূচিতে ছিলেন না, কর্মীরাও আসেননি।
১৮ দলীয় জোটের ঢাকা অভিমুখী কর্মসূচি নিয়ে ধানমন্ডিতে দলের সভাপতির কার্যালয়ে রোববার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন তিনি।
বিকেলে খালেদা জিয়ার পল্টনে আসার উদ্দেশে বাইরে বের হয়ে পুলিশের বাধার মুখে ফিরে যাওয়ার ঘটনাকে নাটক বলে অভিহিত করে তিনি বলেন, তিনি তো নাটক করেছেন। একবার বলেছেন যাবেন আবার বলেছেন যাবনে না। তার সাজ দেখে মনে হয়েছে তিনি কর্মসূচিতে নয় পার্টিতে যাচ্ছেন। পুলিশদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছেন। তার মতো বিরোধী দলীয় নেতার মুখে এটা মানায় না। তিনি ইচ্ছে করলে সকালে উঠে যেতেন কিন্তু তিনি যাননি। এতে বুঝা যায় তিনি আসলে যেতে চাননি।
খালেদা জিয়ার বাসার সামনে অতিরিক্ত পুলিশ ও র্যাব মোতায়েনের বিষয়ে সৈয়দ আশরাফ বলেন, তিনি এবং তার দলের লোকেরা নিরাপত্তা বাড়ানোর অনুরোধ করেছেন। এ জন্যই তার নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। আর তিনি পল্টনে যাওয়ার বিষয়ে সরকারের কাছে এমন কোনো আবেদন করেননি যে তার ব্যবস্থা করতে হবে।
সরকার গণতন্ত্র এবং যুদ্ধাপরাধকে এক করে ফেলেছে- খালেদা জিয়ার এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে আশরাফ বলেন, গণতন্ত্র থাকলে যুদ্ধাপরাধের বিচার হবে। সুতরাং গণতন্ত্র ও যুদ্ধাপরাধকে আলাদা করে দেখার সুযোগ নেই।
বিএনপির মার্চ ফর ডেমোক্রেসি কর্মসূচিতে প্রশাসন ও আওয়ামী লীগের লোকজন বাধা দিচ্ছেন বলে যে অভিযোগ উঠছে সে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা তাদের কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছি না। জনগণের জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশ প্রশাসন ও আওয়ামী লীগ কাজ করছে। যেহেতু আওয়ামী লীগ সরকারের বাইরে না তাই তারা জনগণের নিরাপত্তা জন্য কাজ করছে।
বিএনপির কর্মসূচিকে ব্যর্থ বলে অভিহিত করে তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার মার্চ ফর ডেমোক্রেসি একটা ভাওতাবাজি। এ কর্মসূচিতে তিনি তার দলের লোক এবং সাধারণ জনগণকে একত্রিত করতে পারেননি। আজকে তার কর্মসূচিতে দলের লোকদের পর্যন্ত উপিস্থিত করতে পারেননি। আমি তাকে অনুরোধ করবো, কর্মসূচির নামে এ ধরনের নাটক আর করবেন না। আপনার এ নাটকে যদিও কিছু মানুষ আনন্দ পায় কিন্তু আমরা খুশি হতে পারছি না।
ঢাকামুখী অভিযাত্রা নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে যে আশঙ্কার কথা বলা হয়েছিল সে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নানা মিডিয়াতে অনেক কিছু আশঙ্কার কথাই শুনলাম কিন্তু কিছুই ঘটেনি। বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া ঘটেছে মাত্র।
সংবাদ সম্মেলনে যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ কয়েকজন শীর্ষ নেতা উপস্থিত ছিলেন।
আগামী ৫ জানুয়ারির নির্বাচন থেকে আওয়ামী লীগ কোনোভাবেই পিছু হটবে না বলে আবার ঘোষণা দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।