Home / জাতীয় / সরকারি পর্যায়ে দুর্নীতি মারাত্মক সমস্যা: মার্কিন মানবাধিকার প্রতিবেদন

সরকারি পর্যায়ে দুর্নীতি মারাত্মক সমস্যা: মার্কিন মানবাধিকার প্রতিবেদন

বাংলাদেশে রাজনেতিক সহিংসতা অব্যাহত রয়েছে। নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটছে। তাদের কার্যকর নিয়ন্ত্রণে মাঝে মাঝেই ব্যর্থ হচ্ছে কর্তৃপক্ষ। সরকারি পর্যায়ে দুর্নীতি রয়েছে মারাত্মক সমস্যা হিসেবে। দুর্নীতি দমন কমিশনকে ব্যবহার করা হচ্ছে রাজনৈতিক উদ্দেশে। যুক্তরাষ্ট্রের বার্ষিক মানবাধিকার রিপোর্টে বাংলাদেশ অংশে এ সব কথা বলা হয়।

২০১৩ সালের ঘটনার ওপর ভিত্তি করে ওই রিপোর্টে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি, খেয়ালখুশি মতো গ্রেপ্তার, বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, দুর্বল বিচার ব্যবস্থা, বিচারের আগে দীর্ঘ সময় আটকে রাখা সহ বিভিন্ন বিষয়ের তীব্র সমালোচনা করা হয়েছে।

ওই প্রতিবেদনে ৪২ পৃষ্ঠার বাংলাদেশ চ্যাপ্টারে বলা হয়, সরকারের দুর্নীতি ও স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে বলে বলা হয়। এতে বলা হয়, আইন অনুযায়ী দুর্নীতির দায়ে সরকারি কর্মকর্তারাও শাস্তির যোগ্য। কিন্তু সরকার এক্ষেত্রে কার্যকরভাবে আইন প্রয়োগ করে নি। ২০১৩ সালের দুর্নীতি নিয়ে রিপোর্ট করেছে মানবাধিকার গ্রুপগুলো, মিডিয়া, দুর্নীতি দমন কমিশন ও অন্যান্য কিছু সংস্থা। যেসব কর্মকর্তা দুর্নীতিতে জড়িত হয়েছেন তারা দায়মুক্তির সুযোগ পেয়েছে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করার সরকারি প্রতিষ্ঠান হলো দুদক। ২০১০ সালের বিশ্বব্যাংকের এক রিপোর্ট অনুযায়ী, সরকার দুদকের কাজকে খর্ব করে দেখে এবং তারা দুর্নীতির বিচারকে বাধাগ্রস্ত করে। রিপোর্টে বলা হয়, সরকার বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ের চেয়ে কম দুর্নীতির মামলা করেছে। পাশাপাশি সরকারি কমিশন হাজার হাজার মামলা প্রত্যাহার করার জন্য দুদককে সুপারিশ করেছে। সুশীল সমাজের অনেকে বলেন, সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে গুরুত্ব দিচ্ছে না। উল্টো রাজনৈতিক মামলা পরিচালনায় ব্যবহার করছে দুদককে। টিআইবি বলেছে, দুদকের কর্মকাণ্ডে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপে এ প্রতিষ্ঠানকে ঠুটো জগন্নাথে পরিণত করেছে।

ওই রিপোর্টে বলা হয়, বাংলাদেশে মানবাধিকারের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো খেয়ালখুশি মতো গ্রেপ্তার, অনলাইনে মতামত প্রকাশের ওপর বিধিনিষেধ, কর্মক্ষেত্রে শ্রমিকের দুর্বল অবস্থা ও শ্রম অধিকার। সরকারি পর্যায়ে দুর্নীতি ও এ বিষয়ে সাধারণ ক্ষমা বিষয়টি রয়ে গেছে একটি সমস্যা হিসেবে। ব্যক্তিবিশেষ, বিশেষ করে সরকারি কর্মকর্তাদের ক্ষেত্রে আইনের দুর্বল প্রয়োগের কারণে মানবাধিকার লঙ্ঘন ঘটছে। শুধু তা-ই নয় নাগরিকদের অধিকার প্রতিহত করা হয়। নিরাপত্তা রক্ষাকারীরা সামপ্রতিক বছরগুলোতে যেসব নির্যাতন ও হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তার সমন্বিত তদন্ত ও বিচারের পদক্ষেপ নেয় নি সরকার। নিরাপত্তা রক্ষাকারীদের হাতে কি পরিমাণ মানুষ নিহত হয়েছেন তার কোন পরিসংখ্যান প্রকাশ করেনি। সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা শূন্য সহনশীলতা ও বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধে প্রতিশ্রতি দিলেও তা রয়ে গেছে।

২০১৩ সালের প্রথম ৯ মাসে র‌্যাবসহ নিরাপত্তা রক্ষাকারীদের হাতে নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ১৪৬ জন। ঘেরাও, গ্রেপ্তার ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার অপারেশন চালানোর সময়ও মারা গেছে মানুষ। সরকার যথারীতি এগুলোকে ‘ক্রস ফায়ার’ ‘বন্দুকযুদ্ধ’ ‘এনকাউন্টার কিলিং’ বলে বর্ণনা করেছে। এক্ষেত্রে ২০১২ সালে নিহতের সংখ্যা ছিল ৭০।

২৪শে ফেব্রুয়ারি দেশজুড়ে হরতাল চলাকালে মানিকগঞ্জের সিংগাইরে পুলিশ প্রকাশ্যে গুলি ছোড়ে বিক্ষোভকারীদের ওপর। এতে নিহত হন ৫ জন। তবে নিহতরা কোন রাজনৈতিক দলের সদস্য ছিলেন না। তারা হরতালেও অংশ নেন নি। নিহতরা হলেন কৃষক আলমগীর হোসেন, ব্যবসায়ী নাসির আহমেদ, নাজিমুদ্দিন মোল্লা, শাহ আলম। জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রাজনৈতিক সহিংসতায় নিহত হয়েছেন ১৮৯ জন। এর মধ্যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে সহিংসতা হয়েছে ১৩৫ বার। এতে নিহত হয়েছে ১৫ জন। বিএনপিতে এ সংখ্যা যথাক্রমে ৭৫ ও ৬। ২০১২ সালের ডিসেম্বরে হত্যা করা হয় বিশ্বজিৎ দাসকে। এ ঘটনায় জড়িত ৮ জনের বিরুদ্ধে ঢাকা হাইকোর্ট মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি ঘোষণা করেন। ১৩ জনকে দেন যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।

বছর জুড়েই অব্যাহত ছিল গুম, অপহরণ। এর জন্য দায় দেয়া হয় নিরাপত্তা বিষয়ক সংস্থাগুলোকে। এর মধ্যে রয়েছে র‌্যাব ও সিআইডি। জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নিরাপত্তা রক্ষাকারীদের হাতে গুম হয়েছেন ১৪ জন। ২৫শে জানুয়ারি কুষ্টিয়ার কুমারখালি থেকে ন্যাশনাল কমিউনিস্ট পার্টির নেতা মোহাম্মদ আলী মোহাব্বতকে অপহরণ করে র‌্যাব। তার পরিবারের সদস্যরা বলেছেন তারপর থেকে তিনি কোথায় আছেন তারা তা জানে না। বছর শেষ হয়ে গেলেও তার কোন হদিস মেলে নি। ১৫ই মে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের সাক্ষী সুখরঞ্জন বালি দ্য নিউ এজ পত্রিকাকে বলেন, ২০১২ সালে ওই আদালত থেকে তাকে সাদা পোশাকের পুলিশ অপহরণ করে। এ বিষয়ে প্রত্যক্ষদর্শী রয়েছে। কোন তদন্তও হয় নি। তবুও প্রসিকিউশন তাকে অপহরণের অভিযোগ অস্বীকার করেছে। সুখরঞ্জন দাবি করেছেন, তাকে সীমান্ত পেরিয়ে অবৈধ উপায়ে ভারতে পাঠিয়ে দেয়ার আগে কয়েক সপ্তাহ রাখা হয় নিরাপত্তা হেফাজতে। বছর শেষেও তিনি কলকাতার জেলে বন্দি ছিলেন। নির্যাতন, অমানবিক, অপমানজনক আচরণ শাস্তি সংবিধানে ও আইনে রহিত করা আছে। কিন্তু র‌্যাবসহ নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনী নির্যাতন করে। শারীরিক নির্যাতন করে। নিরাপত্তা রক্ষাকারীরা হুমকি দেয়, প্রহার করে ও বৈদ্যুতিক শক দেয়।

ওই রিপোর্টে জেলখানার চিত্র তুলে ধরা হয়। বলা হয়, জেলখানাগুলোর অবস্থা ভয়াবহ। এতে আসামীতে ঠাসাঠাসি। পর্যাপ্ত সুবিধা নেই। পয়ঃনিষ্কাশনের অভাব রয়েছে। মানবাধিকার সংস্থা অধিকারের মতে, এর ফলে নিরাপত্তা হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। জেলখানায় অতিরিক্ত আসামী রাখায় তাদেরকে ঘুমাতে হয় শিফট করে। নেই পর্যাপ্ত টয়লেট। খেয়ালখুশি মতো আটক করা প্রসঙ্গে বলা হয়, সংবিধানে খেয়ালখুশি মতো আটক, গ্রেপ্তার করা নিষিদ্ধ রয়েছে। তবে কেউ অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত সন্দেহ হলে তাকে বা তাদেরকে ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশ বা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছাড়াই আটকের অনুমতি আছে আইনে। ১১ই মার্চ পুলিশ ঘেরাও করে বিএনপির কেন্দ্রীয় অফিস। বিএনপির র‌্যালি থেকে দলের ১৫০ জন কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশ দাবি করে তারা বিএনপি অফিসের ভিতরে পেয়েছে হাতবোমা, বোমা তৈরির সরঞ্জাম। তবে বিএনপির দাবি, পুলিশের এমন কথা ভিত্তিহীন। তারা এ কথা বলে তাদের অফিসে ঘেরাও দেয়ার বিষয়টিকে বৈধতা দেয়ার চেষ্টা করছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিরুদ্ধে ৯২টি অপরাধ বিষয়ক অভিযোগ আনা হয়। তাকে আটক রাখা হয় ৯১ দিন। ৪ঠা নভেম্বর বিএনপির স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য এম. কে আনোয়ার, রফিকুল ইসলাম মিয়া, মওদুদ আহমেদ, আবদুল আওয়াল মিন্টু ও শিমুল বিশ্বাসকে গ্রেপ্তার করে। অভিযোগে বলা হয়, তারা রাজনৈতিক বিক্ষেভে সহিংসতা উস্কে দেয়ার জন্য দায়ী।

ওই রিপোর্টে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা প্রসঙ্গে বলা হয়, মুক্ত মত প্রকাশ ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতার প্রতি সম্মান দেখাতে মাঝে মাঝেই ব্যর্থ হয়েছে সরকার। মুক্ত মত প্রকাশের ক্ষেত্রে কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। হয়রানি ও প্রতিশোধ নেয়ার আতঙ্কে কিছু সাংবাদিক সরকারের সমালোচনা করার ক্ষেত্রে সেলফ সেন্সরশিপ করে। সংবিধানের সমালোচনা রাষ্ট্রদ্রোহিতার সামিল। এ অপরাধের শাস্তি তিন বছর থেকে যাবজ্জীবন জেল। বছরজুড়ে এ আইনে আদালত কাউকে শাস্তি দেয় নি। সাংবাদিকদের ওপর শারীরিক হামলা, হয়রানি ও ভীতি প্রদর্শন করেছে পুলিশ। অধিকার-এর মতে, কোন সাংবাদিক ২০১৩ সালে নিহত না হলেও জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত ১৪৪ সাংবাদিকের ওপর হামলা হয়েছে না হয় তাদের হুমকি দেয়া হয়েছে।

আইন ও সালিস কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে নিহত হয়েছেন দু’ সাংবাদিক। ৩৯ জনের ওপর হামলা করা হয়েছে। রাজনৈতিক দল, সরকারি কর্মকর্তারা হামলা অথবা হুমকি দিয়েছেন ২৩৪ জনকে। ১৪ই জানুয়ারি অস্ত্রধারীরা চুরিকাঘাত করে ব্লগার আসিফ মহিউদ্দিনকে। ৫ই ফেব্রুয়ারি অস্ত্রধারীরা হামলা চালিয়ে হত্যা করে ব্লগার আহমেদ রাজিব হায়দারকে। ২০শে জুলাই আওয়ামী লীগ দলীয় এমপি গোলাম মওলা রনি দু’ সাংবাদিক ইমতিয়াজ মোমিন ও মোহসিন মুকুলকে অপদস্ত করেন। এ দৃশ্য ধরা পড়ে মুকুলের ক্যামেরায়। পরে তা ব্যাপক প্রচার পায়। ২১শে জুলাই ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশন মামলা করে রনির বিরুদ্ধে। ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারিতে খুন করা হয় সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনিকে। এ ঘটনায় ২০১৩ সালেও কাউকে গ্রেপ্তার করা হয় নি। ১৪ই ফেব্রুয়ারি সরকার বিরোধী দল সমর্থিত দৈনিক আমার দেশ, দিনকাল, সংগ্রাম, দিগন্ত টেলিভিশন ও ইসলামিক টেলিভিশনকে আওয়ামী লীগ সম্পর্কিত ইভেন্ট কভার করার ক্ষেত্রে নিষিদ্ধ করে। ৬ই মে মতিঝিলে হেফাজতে ইসলামীর সমাবেশ সরাসরি সমপ্রচার করায় দিগন্ত টেলিভিশন ও ইসলামিক টেলিভিশন বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন ও রেডিও কমিশন। এ দুটি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা আগে থেকে এ মর্মে নোটিশ পাওয়ার কথা অস্বীকার করেন।

৬ই মে ও ১৪ই মে বিএনপিকে সমাবেশ করতে অনুমতি দেয় নি সরকার। ১৯শে অক্টোবর পুলিশ ঢাকায় সকল সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ করে। কিন্তু ২৫শে অক্টোবর বিএনপিকে সমাবেশ করার অনুমতি দেয়। এ আইনে কোথাও চার জনের বেশি মানুষের সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়। আইন ও সালিস কেন্দ্রের তথ্য মতে, জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে কর্তৃপক্ষ এই বিধান ব্যবহার করে ১০৫ বার। পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা সভা সমাবেশ ভণ্ডুলে অংশ নেয়। ৫ ও ৬ই মে সরকার হেফাজতে ইসলামের ঢাকা ঘেরাও কর্মসূচি পণ্ড করে দিতে নিরাপত্তা রক্ষাকারীদের মোতায়েন করে। প্রথম দিকে সরকার তাদেরকে সমাবেশের অনুমতি দিয়েছিল। কিন্তু তাদের র‌্যালি সহিংস হয়ে উঠার পর সরকারি কর্মকর্তারা তাদেরকে মতিঝিল থেকে সরে যেতে নির্দেশ দেন। কিন্তু স্বেচ্ছায় তারা ওই স্থান ত্যাগ করে নি। সরকার দাবি করে, পুলিশ ও ইসলামী দলটির মধ্যে সংঘর্ষে ১১ জন নিহত হয়েছে। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে দৃশ্য দেখিয়ে বলা হয়, হতাহতের সংখ্যা ১০ থেকে ১৬। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ও আল জারিরা রিপোর্টে বলে নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ৫০ জন। জুনে অধিকার তার রিপোর্টে বলে, দু’দিনের ওই সহিংসতায় নিহত হয়েছেন ৬১ জন।

৩১শে জানুয়ারি পদ্মা সেতু প্রকল্প থেকে ৯৬০০ কোটি টাকার ঋণ আবেদন প্রত্যাহার করে নেয়। বিশ্বব্যাংকের বৈদেশিক বিশেষজ্ঞ প্যানেলের সমালোচনার পর সরকার এ সিদ্ধান্ত নেয়। সাবেক যোগাযোগ মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনে দুদকের ব্যর্থতার জন্য ওই প্যানেল তীব্র সমালোচনা করে। বিশেষজ্ঞ ওই প্যানেল বিশ্বাস করেন তাদের হাতে সৈয়দ আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে দুর্নীতিতে জড়িত থাকার যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ আছে। ১৯শে সেপ্টেম্বর বিদেশের একটি আদালত আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযুক্ত করে সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরীর বিরুদ্ধে। বলা হয়, তিনিও পদ্মা সেতু দুর্নীতিতে জড়িত।

এছাড়া ওই রিপোর্টে এনজিও সংস্থা, বিশেষ করে অধিকার সম্পাদক আদিলুর রহমান খানকে হয়রানির প্রসঙ্গ উঠে আসে। উঠে আসে আদিবাসীদের অধিকার, নারী অধিকার, ধর্মীয় অধিকারসহ নানা প্রসঙ্গ। বলা হয়, জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ৭২৯টি। এতে উঠে আসে শ্রমিক অধিকার প্রসঙ্গও। বলা হয়, শ্রমিকদের ইউনিয়ন করার অধিকার দেয়া হলেও নিবন্ধনের ক্ষেত্রে রয়েছে অনেক প্রতিবন্ধকতা। এতে সাভারের রানা প্লাজা ধসে নিহত হন কমপক্ষে ১১৩৩ জন শ্রমিক। আহত হন ২৫০০ শ্রমিক। ভবন নির্মাণ বিধি লঙ্ঘন করে বানানো হয়েছিল ওই ভবন। এ ভবনের মালিক সোহেল রানার বিরুদ্ধে মামলা হয়। রানাকে ২৯শে এপ্রিল গ্রেপ্তার করা হয়।

আজকের নিউজ আপনাদের জন্য নতুন রুপে ফিরে এসেছে। সঙ্গে থাকার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ। - আজকের নিউজ